csb24.com::
সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠনের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ইস্যু গঠন হলেই এই মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিচারকাজ শুরু হবে। ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ভারপ্রাপ্ত বিচারক নাসরিন জাহানের আদালতে আজ রবিবার মামলার ইস্যু গঠনের দিন ধার্য ছিল। বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান সমনের জবাব দাখিল না করায় তার আইনজীবীরা জবাব দাখিল ও ইস্যু গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সমনের জবাব দাখিল করেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। এদিকে আরাফাত রহমান কোকো নামমাত্র কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি লেনদেনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাই মামলাটি খারিজের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। খালেদার পক্ষে হলফনামা দেন মাহবুব আল আমিন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। ফলে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
পাঠকের মতামত